লেখক | : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : উপন্যাস |
প্রকাশনী | : আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৮৫ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
রতনের জ্যঠতুতো দাদা পরাণ অনেকদিন হল বাউল হয়ে ঘর ছেড়েছে। বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ মারিয়া নামের এক মেমসাহেবকে সাধনসঙ্গিনী করে বাড়িতে এনে তুলেছে পরাণ। একটি প্রথাগত পরিবারে এই নারী এসে যেন উলটপালট করে দিল নরনারীর জীবনকাহিনী। রতনকে একলা পেয়ে আচমকা তার ঠোঁটে চুম্বন এঁকে দিল মারিয়া। রতনের কাছে এ এক গ্লানি। সে এখন সাম্যবাদী পার্টির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। পার্টির ছেলে। সাম্যবাদ নামক এক স্বপ্নে রতন বিভোর। চুম্বনের গ্লানি সত্বেও তার ভেতর জেগে ওঠে এক নিষিদ্ধ আনন্দের সূচীমুখ। রতনের চারপাশে নানা ছাঁদের অক্ষরে লেখা হতে থাকে জীবনের গল্প। তার চিরদুঃখী মদ্যপ বাবা অভিরাম, যাত্রার নায়ক মনোজকূমারের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া তার মা সাবিত্রী, বড়দিদি রত্না, রত্নার বান্ধবী মধুরা ও মধুরার স্বামী বিমান এবং আরো অনেকে দীর্ঘদেহী রতনের যৌবন্তরঙ্গের গল্পে যেন দুলতে থাকে। সকলের সঙ্গে তার সম্পর্ক রচিত হচ্ছে। আবার ব্যবসা, পারিবারিক বন্ধন ও পার্টি- এই তিনটিকে নিয়ে রতন সোজা এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। গোপালগঞ্জের মহেন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে দলের মিটিঙের শেষে দেখা হওয়ার পর থেকেই রতনের জীবনের গল্প বাঁক নিল অন্য খাতে। মহেন্দ্রর মেয়ে কেন এগিয়ে এসে রতনকে বলল, আমি হৈমন্তী। কি বলতে চেয়েছিল বিপণ্ণ মেয়েটি ? শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের মরমী উপন্যাস 'নরনারী কথা'য় তারই উত্তর।