লেখক | : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
ক্যাটাগরী | : চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশনী | : বইপোকা পাবলিকেশন্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৫৩ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
সর্বভারতীয় আধ্যাত্ম দর্শন থেকে চিরায়ত বাঙালীবোধ এবং এই বাঙালিবোধের সঙ্গে অনবচ্ছেদ ধারায় সংযুক্ত বিশ্বপরিসরের আধুনিকতার জয়মাল্য সব মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যে ‘গোরা’ উপন্যাসে যে অবিস্মরণীয় ভাব কল্পনা সেখান থেকে ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসের মতো ভিন্ন এক আদর্শিক যাত্রা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়ের আবর্তে এক আধুনিক মনন।
‘গোরা‘ আর ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাস দুইটির মধ্যে প্রকাশের সময় হিসেবে ফারাক পাঁচ বছরের। সময়টা খুব দীর্ঘ না হলেও নিতান্ত কমও নয়। পরিবর্তিত সময়, চৈতন্যের আসা-যাওয়া সর্বোপরি সমাজ-সংস্কারের হরেক রকম টানপোড়েন সৃজন ক্ষমতায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে এটাই তো স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় হয়নি। উনিশ শতকীয় সমাজের ক্রান্তিলগ্ন থেকে বিশ শতকীয় প্রথম দশক ভারতীয় উপমহাদেশ নব জাগরণীয় বোধের বিপরীতে অনেক বেশি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ অবস্থার দিকে মোড় নেওয়া তৎকালীন আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক তার চেয়েও তীব্রতর প্রশাসনিক রদবদলের এক আবশ্যিক অধ্যায়। যার ভাল-মন্দের দুই প্রভাবে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক ভিন্নমাত্রার এক অনিবার্য কাল পর্ব। যে যুগান্তকারী সময়ে চিন্তার ক্ষেত্রেও আসে শুধু বিবর্তনই নয় একেবারে বিপ্লবী মনস্তত্ত্ব। যার সুস্পষ্ট নির্ণায়ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাস।’
‘প্রবাসী’ পত্রিকায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা তখন নিয়মিত প্রকাশ করা ছিল সে সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রমানন্দ বাবুর অনুরোধে ‘গোরা’র মতো উপন্যাস লিখতে যাওয়া এবং ‘প্রবাসী’ কাগজে তা ছাপানো ছিল এক ধরনের দায়বদ্ধতা। এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় কাগজের ইতিহাসে আর এক নবসংযোজন ‘সবুজপত্র’। শুধু একটি পত্রিকার নবযাত্রা নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চৈতন্যেও এক নতুন আহ্বান যা পূর্বের রবীন্দ্রনাথকে একটু আলাদাও করে দেয়। সৃষ্টির জগতে আসে এক অনন্য দুর্বার ক্ষণ, যা রবীন্দ্র মানসের ধারাবাহিকতায় ভিন্নমাত্রায় অভিগমন। সবুজপত্রের সূচনাকালেই পর্যায়ক্রমিক ধারায় প্রকাশ পেতে থাকে ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসের মতো যুগান্তকারী উপন্যাস।