লেখক | : হুমায়ুন আজাদ |
ক্যাটাগরী | : চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশনী | : আগামী প্রকাশনী |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১৫০ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
উপন্যাসের মূল চরিত্র ৩৬ বছর বয়সী ডক্টর শিরিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্বের অধ্যাপিকা, বিবাহিত, অভিভাবক দ্বারা বিয়ে হয়েছে তার, যদিও সে তার স্বামী দেলোয়ারকে ভালোবাসেনা কিন্তু সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে তার সঙ্গে সংসার করে। শিরিন একবার নৃতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের জন্যে সিলেটের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যায়, ওখানের এক রেস্টহাউজে খালেদ নামের এক পুরুষের সঙ্গে ছোটোখাটো বন্ধুত্ব হওয়ার পর খালেদ তার সঙ্গে যৌনমিলন করে শিরিনেরই পরোক্ষ মৌনসম্মতিতে, শিরিনই তাকে তার নিজের কক্ষে ঢুকিয়ে দরোজা বন্ধ করে দেয়, যদিও পরের দিন খালেদ দ্বিতীয়বার তার সঙ্গে মিলন করতে চাইলে শিরিন রাজি হয়না; শিরিন বুঝতে পারে এ ঘটনাটি তার জীবন বদলে দিয়েছে, ঘটনাটি দিয়ে সে-ই তার জীবন বদলে দিয়েছে এবং সে ঠিক করে যে, স্বামী দেলোয়ারের সঙ্গে আর সংসার করবেনা। কমলগঞ্জ থেকে ঢাকা ফিরে আসার পর দেলোয়ার শিরিনের সঙ্গ পাবার চেষ্টা করলেও শিরিন তাকে ঠিকমত পাত্তা দেয়না, শিরিনের বাবামাও শিরিনকে এ-ব্যাপারে ধরে কিন্তু শিরিন নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে; উপন্যাসের শেষ দিকে শিরিনের সঙ্গে দেলোয়ার জোরপূর্বক দৈহিক মিলন করতে চাইলে শিরিন তার নিজের মনে মনে বলতে থাকে যে সে শুধু সত্যিকারের প্রেমিকের সঙ্গেই দৈহিক মিলন করতে পারে যদিও স্বামী হিসেবে দেলোয়ার শিরিনের সঙ্গে আগে ঠিকই দৈহিকমিলন করতে পারতো কিন্তু শিরিন খালেদ নামের ঐ ব্যক্তির সঙ্গে ঘটনাটির পর দেলোয়ারের সঙ্গে আর মিলন করতে চায়না। শিরিনের নিজের ভাষায়ঃ
“ সে আমাকে নগ্ন করার চেষ্টা করে, আমি বাঁধা দিই, তার হাত বারবার সরিয়ে দিতে থাকি, কিছুতেই আমি আজ নগ্ন হবোনা, হে প্রিয় শরীর, কোনো ধর্ষণকারীর সামনে আমি তোমাকে নগ্ন করবোনা, তোমার সৌন্দর্য ধর্ষণকারীর জন্য নয়, তুমি শুধু প্রেমিকের ছোঁয়ায় ফুটতে পারো; সে টেনে আমার শাড়ি ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে, পারেনা, আমি আজ তার সামনে নগ্ন হবোনা; সে আমাকে চেপে ধরে নিজে নগ্ন হতে থাকে। ”
শিরিন আলাদা একটি বাসা নিয়ে থাকছিলো; খালেদ শিরিনকে প্রেম এবং বিয়ের প্রস্তাব দিলে শিরিন গুরুত্ব দেয়না এবং দেলোয়ার শিরিনের বাসায় এসে শিরিনের সঙ্গে মিলন করতে চাইলে শিরিনের বাঁধায় দেলোয়ার পারেনা, এভাবেই উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে; নিজে পছন্দ না করলে শিরিন কোনো পুরুষের সঙ্গেই থাকবেনা - এটাই উপন্যাসের মূল বক্তব্য।