লেখক | : সুচিত্রা ভট্টাচার্য |
ক্যাটাগরী | : রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার |
প্রকাশনী | : আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১২১ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
এক্সামের পরের ছুটিতে মিতিন মাসির বাড়িতে বেড়াতে এসেছে টুপুর। বেশ অনেকদিন ধরে মিতিন মাসি কোনো কেস পায় নি বলে ক্ষ্যাপানো শুরু করেছে পার্থ মেসো। মিতিন মাসি নির্লিপ্ত থেকে বুমবুমকে নিয়ে খাটছে। সেদিন সন্ধ্যার পর পর মিতিন মাসির ফোন আসল। লোকটার নাম শুনে স্বয়ং পার্থ মেসো পর্যন্ত চমকে ওঠল। শেঠ রুস্তমজি জরিওয়ালা। কলকাতার সেরা ব্যাবসায়ীর একজন। সম্ভ্রান্ত পারস।
ঘটনাচক্রে জানা গেল রুস্তমজির ছেলে রৌনক (রনি) কে কিডন্যাপ করা হয়েছে। কিডন্যাপার এক কোটি টাকা দাবি করছে। টাকাটা রুস্তম জন্য তেমন কিছু না, কিন্তু তিনি চাইছেন কিডন্যাপারর ধরা পড়ুক। এদিকে রুস্তমজীর স্ত্রী লীলা ডিটেকটিভদদের আগমনটা পছন্দ করেনি। হাজার হোক মায়ের মন।
রনি, সেন্ট পিটার্স স্কুলে ক্লাস ফোরে পড়ে। স্কুলের কড়া নিয়ম কানুনের মাঝখান থেকে সোজা হাপিশ হয়ে গেল যেন সে। স্কুলের কমিটি জানাল, কার্ড দেখিয়েই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের কালো বি এম ডব্লিউ গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে কিডন্যাপাররা সময় দিয়েছে মাত্র তিনদিন। ফোনটা এসেছে একটা পাবলিক টেলিফোন বুঁদ থেকে। কাজে লেগে গেল মিতিন মাসি, জানা গেল আসলেই নিজেদের গাড়িতে করে রনি গিয়েছিল সেদিন। কিন্তু মজার একটা তথ্য হাতে পড়ল, গাড়িটা যদিও রনিদের গাড়ির মতোই দেখতে, কিন্তু আসলে গাড়িটা তাদের না!...
ভাইয়ের সাথে মনোমালিন্য চলছে রুস্তমজির। কিন্তু তার সাথে কেইসের কোনো সম্পর্ক করতে পারল না মিতিন মাসি। এদিকে জুটেছে দ্বিজেন হালদার, যার কোম্পানি থেকে কিডন্যাপেরর গাড়িটা ভাড়া করা হয়েছে। জানা গেল গাড়িটা ভাড়া করা হয়েছে রুস্তমজির অফিস থেকেই। কিন্তু রুস্তমজি এই সম্পর্কে ওয়াকিবহল না।