লেখক | : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : উপন্যাস |
প্রকাশনী | : বইপোকা পাবলিকেশন্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৪৩ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
বেঙ্গল-আসাম রেলপথের একটা ছােট স্টেশনের ওপর কৃষ্ণপক্ষের রাত ঘুটঘুট করছিল । স্টেশনটা কিন্তু বাংলাদেশে নয়, আসামেও নয়। তােমরা হয়তাে জানাে, বাংলাদেশের ঠিক প্রতিবেশী, উত্তর বিহারে একটা জেলা আছে নাম পুর্ণিয়া। অনেকদিন আগে পুর্ণিয়াকে বাংলার মধ্যে ধরা হত—পরে এটাকে বিহারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আজও এ-জেলার একটা অংশের মানুষ পুরােপুরি বাঙালী-হাটে-বাজারে বন্দরে-গঞ্জে অসংখ্য বাঙালীর বসতি। এই জেলাটার ভিতর দিয়ে বেঙ্গল-আসাম রেলপথের অনেকগুলাে শাখা প্রকাণ্ড একটা বটগাছের ডালপালার মতাে ছড়িয়ে রয়েছে। তারই কোনও একটা শাখাপথের ওপরে ছােট্ট একটি স্টেশনধরা যাক তার নাম মানিকপুর। রাত বারােটা পেরিয়ে গেছে। স্টেশনমাস্টার গণেশবাবু টেবিলে একটা পা তুলে দিয়ে হাঁ করে নাক ডাকাচ্ছেন আর মাঝে মাঝে চমকে জেগে উঠেই গালে ও কপালে প্রাণপণে থাবড়া মেরে মশা মারবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মাঠের বেপরােয়া মশা চড়চাপড়ে ভয় তাে পাচ্ছেই , চারিদিক থেকে আরও মরিয়া হয়ে হেঁকে ধরেছে। কিন্তু ধৈর্যেরও সীমা আছে মানুষের। শেষ পর্যন্ত চেয়ার থেকে তড়াক করে নেমে পড়লেন গণেশবাবু। খানিকক্ষণ অভদ্র ভাষায় মশাদের বাপপাস্ত করলেন, তারপর কোণের কুঁজো থেকে ঢকঢক করে গেলাস তিনেক জল গড়িয়ে খেয়ে একটা বিড়ি ধরালেন।