লেখক | : সুকান্ত ভট্টাচার্য |
ক্যাটাগরী | : রচনাবলী |
প্রকাশনী | : অজানা |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৫৯ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
অপ্রচলিত রচনা সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে সুকান্তের অপ্রচলিত কবিতার সংখ্যা নিতান্তই কম। বর্ষবাণীর বৈশাখী গানে সুকান্ত নবীনকে বৈশাখী ডাকে সাড়া দিতে বলেছেন। নবীন প্রাণকে নব নব নবীন দান আনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথের “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”র প্রভাব সবিশেষ লক্ষণীয়।
‘চরমপত্র’ একটি উৎকৃষ্ট কবিতা। এখানে সম্মিলিত চরমপত্র দেওয়া হচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজকে; শোষককে ।
স্বাধীনতার আন্দোলন এখন আকাশ পাতালে ছড়িয়ে গেছে। মানবতার শত্রু, যারা মানুষের স্বাধীনতা হরণ করে নেয়, তাদের ঠাঁই নেই পৃথিবীতে। শাস্তি, ফাঁসি, মাথার খুলি অনেক উপহার দেওয়া হয়েছে জালেমকে। কিন্তু মজলুম সে অত্যাচারের একবিন্দুও ভুলেনি। তাই এ চরমপত্র! অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ!! ‘জনযুদ্ধের গান’-এ কবি লিখেছেন-
“জনগণ হও আজ উদ্বুদ্ধ
শুরু কর প্রতিরোধ, জনযুদ্ধ,
জনগণ শক্তির ক্ষয় নেই
ভয় নেই আমাদের ভয় নেই।”
‘ভবিষ্যতে’ কবিতায়ও কবির ঐক্যের ডাক-
“চাষা মজুর দীন দরদী সবাই মোদের ভাই,
এক স্বরে বলব মোরা স্বাধীনতা চাই।
আমরা সবাই ভারতবাসী শ্রেষ্ঠ পৃথিবীর
আমরা হব মুক্তিদাতা আমরা হব বীর।”
মানুষের জন্য কবিতা একথাটিই বড় করে বলতে চেয়েছেন সুকান্ত । খাবার জন্য মানুষ বাঁচে না; বাঁচার জন্য খায়। মানুষের জন্য শিল্প; শিল্পের জন্য মানুষ নয়। নজরুলের মত ‘সুহৃদ বরেষু’ কবিতায় সুকান্ত এ চিরন্তন কথাই ব্যক্ত করেন-
“মানুষ কাব্যের স্রষ্টা কাব্য কবি করে না সৃজন
কাব্যের নতুন জন্ম, সেই পথ যখনই বিজন।” –