লেখক | : আলেক্সান্দার বেলায়েভ |
অনুবাদক | : ননী ভৌমিক |
ক্যাটাগরী | : গল্প, সায়েন্স ফিকশন |
প্রকাশনী | : বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১৪৪ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
“রাশিয়ান লেখক আলেক্সান্দর বেলায়েভের অসাধারণ একটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ‘উভচর মানুষ’। বিজ্ঞান নিয়ে একটা কল্পিত কাহিনিতে লেখক মানবতা, প্রেমের সৌন্দর্য, মানবকল্যাণে বিজ্ঞান ও ধর্মান্ধতাসহ নানা বিষয় দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।” এই উপন্যাসটি আর্জেন্টিনার বুয়েনাস-আইরেসের প্রেক্ষাপটে লেখা। স্পেনিশ বংশোদ্ভূত আর্জেন্টেনীয় সার্জন সালভাতর অঙ্গ সংস্থানসহ বিভিন্ন জৈবিক গবেষণা করতেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রেড-ইন্ডিয়ান রোগীর চিকিৎসা করতেন। রেড-ইন্ডিয়ানদের কাছে তিনি ভগবান-তুল্য। তাঁর খ্যাতির জন্য পুরো দক্ষিণ আমেরিকা থেকে রেড-ইন্ডিয়ান রোগী আসতো চিকিৎসা নিতে। একদিন তাঁর কাছে এমন এক রেড-ইন্ডিয়ান শিশুকে নিয়ে আসা হয়, যাকে বাঁচানো ছিল অসম্ভব। তার শ্বাসক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করছিল না। তাকে বাঁচানোর জন্য সালভাতর বাচ্চা হাঙরের কানকো সংস্থান করেন। এর ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়। কিন্তু তাকে এজন্য অনেকটা পানিতে থাকতে হবে এবং ডাঙায় শ্বাস নিতে হবে। সেই সময় ঐ শিশুর পিতা বালতাজারকে বলা হয় শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু একসময় বালতাজার ঠিকই জানতে পারে যে, তার ছেলে বেঁচে আছে। ‘দরিয়ার দানো’ই তার ছেলে। সালভাতর এই মৎস্যপুরুষ বা উভরচর মানুষের নাম রাখেন ইকথিয়ান্ডর। আলেক্সান্দর বেলায়েভের অন্যান্য কাজের মতো এই উপন্যাসেও মানুষের শারীরিক পরিবর্তনের পর তার বেঁচে থাকার সম্ভবনা নিয়ে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও উপন্যাসটিতে সমাজতন্ত্রের ধারণার ছোঁয়া পাওয়া যায়।