আবদুল জব্বার (সাহিত্যিক)

আবদুল জব্বারের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সাতগাছিয়া থানার অন্তর্গত নোদাখালির এক দরিদ্র পরিবারের। পিতার নাম তজিমউদ্দিন মাতা উম্মেবানু। হতদরিদ্র পরিবারে জন্মানোর কারণে লেখাপড়ার সুযোগ তেমন পাননি। শৈশবেই পিতৃহারা হন তিনি। দারিদ্র্যের নিষ্পেষণে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। প্রথাগত পড়াশোনায় তাই বেশি দূর এগোতে পারেন নি। মামার আশ্রয়ে ষষ্ঠশ্রেণীতে পড়ার সময়ই উপার্জনের তাগিদে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে যান দর্জির কাজ শিখতে। কিন্তু ভালো লাগেনি। তাই চলে গেলেন বজবজের বিড়লা জুট মিলে। সে কাজ ছেড়ে গেলেন হাওড়ায় ঢালাই মিস্ত্রির কাজ শিখতে। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেন নি।  তাই কখনো দর্জির কাজ, কখনো চটকলে, কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবনযাত্রা নির্বাহ করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এসবের মাঝেও তার সাহিত্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে কৈশোরেই। পনেরো বছর বয়সে প্রথম গল্প 'মা' প্রকাশিত হয় পত্রিকার পাতায়। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতালব্ধ দারিদ্র্য ও নানাবিধ প্রতিকূলতায় তার সাহিত্য প্রতিভা সুপ্ত ছিল।

যখন তিনি কলকাতায় মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও বুদ্ধিমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব কাজী আবদুল ওদুদের সংস্পর্শে আসেন। তার সাহচর্যেই লেখালেখির কাজ শুরু করেন।

সাহিত্যকর্মের জন্য বিভিন্ন সময়ে তিনি সংবর্ধিত হয়েছেন আকাদেমি শৈলজানন্দ তারাশঙ্কর পুরস্কারে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে শরৎচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত করে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে পান ‘নতুন গতি' পুরস্কার।

আরও পড়ুন
ক্যাটাগরী
বইয়ের ধারা
রেটিং
ভাষা
প্রকাশনী

আবদুল জব্বার (সাহিত্যিক) এর বইসমুহ

কোন বই খুজে পাওয়া যায়নি
খোজা হচ্ছে...