অতুলচন্দ্র গুপ্ত

অতুলচন্দ্র সেন ১৮৭৫ সালের ১ এপ্রিল ঢাকা জেলার অন্তর্গত বাহেরক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কালীপ্রসন্ন সেন। মাতা উমাসুন্দরী। ১৮৯৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি লাভ করেন। ১৮৯৭ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সংস্কৃত ও দর্শনে যুগ্ম অনার্স নিয়ে বি.এ. পাশ করেন। পরের বছর ঐ কলেজ থেকেই দর্শনে এম.এ. পাশ করেন। ১৮৯৯ সালে তিনি বিক্রমপুরের রাধানাথ উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষকরূপে যােগদান করেন। ১৯০৩ সালে সিটি কলেজ থেকে আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরের বছর কুমিল্লা জজকোর্টে ওকালতি করলেও এই ব্যবসায়ে তার উচ্চ নৈতিক আদর্শ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব না হওয়ায় তিনি তা পরিত্যাগ করেন। ১৯০৭ সালে অতুলচন্দ্ৰ হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক পদে যােগদান করেন। ১৯১০ সাল পর্যন্ত উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।। পরবর্তীতে ১৯১১ সালে তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদ গ্রহণ করেন। ১৯১৪ সালে তিনি কলকাতার রিপন (অধুনা সুরেন্দ্রনাথ) কলেজের অধ্যাপকরূপে যােগ দেন। অসহযােগ আন্দোলনে যােগ দেওয়ার ফলে তাকে চাকরিতে ইস্তফা দিতে হয়। ১৯৩৬ সালে তার ব্যাখ্যাত ও সম্পাদিত ভগবদগীতার সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি কঠ’ ও ‘কেন উপনিষদের সরল বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন; তাছাড়া ৭টি উপনিষদের পাণ্ডুলিপি রেখে যান। তার সমগ্র বাংলা রচনা শতাব্দীর সাধনা' নামে প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। সীতানাথ তত্ত্বভূষণ (১৮৫৬-১৯৪৫) হবিগঞ্জ জেলার সাংঘর গ্রামে ১২৬২ বঙ্গাব্দের ২৮ মাঘ সীতানাথ দত্তের জন্ম হয়। বাল্যকালে কয়েক বৎসর তিনি সিলেটের নিকটবর্তী গ্রামের বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ১৩ বত্সর বয়সে তিনি যান ঢাকায় শিক্ষালাভের জন্য। পরে সিলেট শহরে দুই বৎসর বিদ্যালয়ে, শেষে ১৮৭১ সালে কলকাতায় এসে তিনি কেশবচন্দ্রের বাড়িতে ও মন্দিরে নিয়মিত ব্রহ্মাপাসনায় যােগদান করেন। আর নিয়মিত যান মহর্ষি প্রতিষ্ঠিত ব্রহ্মবিদ্যালয়ে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও কেশবচন্দ্রের বক্তৃতাদি শুনতে। দুই মনীষীর প্রভাব তার সাহিত্য ও ধর্মজীবন গঠনে বিশেষ সহায়তা করে। ১৮৭৪ সালে সীতানাথ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

আরও পড়ুন
ক্যাটাগরী
বইয়ের ধারা
রেটিং
ভাষা
প্রকাশনী

অতুলচন্দ্র গুপ্ত এর বইসমুহ

কোন বই খুজে পাওয়া যায়নি
খোজা হচ্ছে...