লেখক | : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশনী | : অজানা |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১০৫৪ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
যে যুগে বঙ্কিমচন্দ্রের জন্ম, উহা বাঙ্গালার সামাজিক ইতিহাসে একটা উৎকট প্রলয়ের যুগ। এই সময়ে বাঙ্গালার হিন্দুসমাজে এরূপ একটা প্রবল সংক্ষোভ দৃষ্ট হইয়াছিল যে, অনেকেরই মনে হইয়াছিল যে এই বিপ্লবাবর্ত্তে দেশের প্রাচীন আচার, প্রাচীন সংস্কার, প্রাচীনবিদ্যা, প্রাচীন নীতি, এমন কি, হিন্দুসভ্যতার সনাতন বিশেষত্ব যে অধ্যাত্মদৃষ্টি, তাহা পর্যন্ত চিরকালের জন্য অতল কালসাগরগর্ভে ডুবিয়া যাইবে।
এমত অবস্থায় সাহিত্যকে অবলম্বন করিয়া বঙ্কিমচন্দ্র কেবল সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি করিয়াই ক্ষান্ত ও তৃপ্ত হয়েন নাই, পরন্তু শিক্ষাদানও করিয়া গিয়াছেন। তিনি একদিকে যেমন নূতন নুতন রচনার দ্বারা বাঙ্গালা সাহিত্য সম্পূর্ণ ও সমৃদ্ধ করিতে প্রয়াস করিয়াছেন, তেমনই—নিপুণ কৃষক যেমন ক্ষেতে সমধিক শস্য উৎপাদনের চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে তৃণগুল্ম উৎপাটিত করিয়া ফেলে, তেমনই—নির্মমভাবে সমালোচনা করিয়া সাহিত্যক্ষেত্রে আবর্জনার উদ্ভব ও পুষ্টি অসম্ভব করিবার চেষ্টা করিয়াছেন।
বঙ্কিমচন্দ্র সাহিত্যের সাহায্যে বাঙ্গালীকে কেবল বিশুদ্ধ আনন্দলাভের উপায় প্রদান করেন নাই, পরন্তু চিত্তবৃত্তির পূর্ণ বিকাশের পথ - সমুন্নত মনুষ্যত্বের আদর্শও দেখাইয়া দিয়াছেন। সাহিত্যের সাহায্যে তিনি বাঙ্গালীকে অনুশীলনতত্ব বুঝাইয়াছেন। তাহার অনুশীলনতত্বের বৈশিষ্ট্য—তাহা আধ্যাত্মিকতার সহিত ওতপ্রোতভাবে মিশ্রিত।
বঙ্কিমচন্দ্র ভগীরথের মত সাধনা করিয়া বাঙ্গালা সাহিত্যে ভাবগঙ্গা আনিয়াছিলেন। আমাদিগের দুর্ভাগ্য তাহার একাগ্র সাধনার ইতিহাস আমাদিগের অপরিজ্ঞাত।
উপন্যাসগুলির নাম নীচে দেওয়া হল-
আনন্দমঠ
বিষবৃক্ষ
চন্দ্রশেখর
দেবী চৌধুরাণী
দুর্গেশনন্দিনী
ইন্দিরা
যুগলাঙ্গুরীয়
কপালকুণ্ডলা
কৃষ্ণকান্তের উইল
মৃণালিনী
রাধারাণী
রজনী
রাজসিংহ
সীতারাম