| লেখক | : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | 
| ক্যাটাগরী | : রম্য সাহিত্য | 
| প্রকাশনী | : অজানা | 
| ভাষা | : বাংলা | 
| পৃষ্ঠা | : ৮৪ পাতা | 
| মুল্য | : ০.০০৳ | 
| রেটিং | : 
                                                                                                
                                                                                                                                
                                                                                                                                
                                                                                                                                
                                                                                                                                
                                                                                        (০)
                         | 
| কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই | |
 
             
             
             
             
             
             
             
             
             
             
             
             
             
             
             
            "কমলাকান্তের দপ্তর" বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া:
‘কমলাকান্তের দপ্তর’ (১৮৭৫) বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত রঙ্গব্যঙ্গ রচনা সংকলন। এর রচনাগুলাের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে এক ধরনের হাস্যরসাত্মক রঙ্গব্যঙ্গমূলক রচনার প্রচলন করেছিলেন, যার ভেতর দিয়ে তিনি পরিহাসের মধ্যদিয়ে সমকালীন সমাজ, ধর্ম, সভ্যতা এবং সাহিত্যসংস্কৃতির নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতার তীব্র সমালােচনা করেছেন। কমলাকান্ত চক্রবর্তী নামে এক কাল্পনিক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ প্রসন্ন গােয়ালিনীর দবিদুগ্ধে প্রতিপালিত হয়ে এবং নসীরামবাবুর দেওয়া আফিং বটিকা উদরস্থ করে মাঝে মাঝে দিব্যদৃষ্টি লাভ করতেন এবং তারই ঝেকে অদ্ভুত কথা বলতেন। ইংরেজ সাহিত্যিক ও সমালােচক ডি-কুইনসির (১৭৮৫–১৮৫৯) Confessions of an English Opium Eater-এর অনুসরণে বঙ্কিমচন্দ্র কমলাকান্তের দপ্তর’ রচনা করেন। অবশ্য দুজনের মধ্যে মন ও মেজাজের দিক দিয়ে সাদৃশ্যের চেয়ে বৈসাদৃশ্যই বেশি দেখা যায়। ডি-কুইনসি ব্যক্তিগত জীবনে অসুখ সারাবার জন্যে আফিং ধরেন এবং ভয়ানকভাবে নেশাগ্রস্ত হয়ে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখতে থাকেন। তারপর যখন দেখলেন এত বেশি নেশাগ্রস্ত হলে মৃত্যুও হতে পারে, তখন তিনি নেশার হাত থেকে মুক্তি পান।