লেখক | : হুমায়ূন আহমেদ |
ক্যাটাগরী | : গল্প |
প্রকাশনী | : পার্ল পাবলিকেশন্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১১৩ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে না।
চাবি ঘুরালে ভররর জাতীয় ক্ষীণ শব্দ হচ্ছে। শব্দে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। । হাসান লীনার দিকে তাকিয়ে বিরক্ত মুখে বলল, কী করা যায় বলাে তাে?
লীনা ঢোক গিলল। হাসানকে সে অসম্ভব ভয় পায়। অফিস-বসকে ভয়। পাওয়া দোষের কিছু না। ভয় লাগামছাড়া হওয়াটা দোষের। হাসান জিজ্ঞেস করেছে— কী করা যায় বল তাে। নির্দোষ প্রশ্ন। স্মার্ট মেয়ে হিসেবে লীনার বলা উচিত ছিল- স্যার চলুন আমরা একটা ক্যাব নিয়ে চলে যাই। তা না বলে সে ঢোক গিলছে। ঠোক গেলার মতাে প্রশ্ন তাে
। পিএ-র প্রধান দায়িতু বসের মেজাজের দিকে লক্ষ্য রাখা। তাঁর সমস্যার সমাধান দেবার চেষ্টা করা। তা না করে সে খাতাপত্র নিয়ে জড়ভরতের মতাে বসে আছে।
হাসান বলল, লীনা কটা বাজে দেখ তাে।
লীনা আবারাে সেঁক গিলল। তার হাতে ঘড়ি নেই। সবদিন ঘড়ি থাকে, শুধু আজই নেই। ঘড়ি পরতে ভুলে গেছে। সে যখন বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় উঠেছে তখন তার মা দোতলার বারান্দায় এসে বলেছেন, ‘লীনা তুই ঘড়ি ফেলে গেছিস। লীনা বলেছে, “থাক লাগবে না। এটা না করে সে যদি রিকশা থেকে নেমে ঘড়িটা নিয়ে আসত। তাহলে সময় বলতে পারত। হাসান বলল, তােমার ঘড়ি নেই ?
স্যার। | ‘ঘড়ি কিনে নাও না কেন ? ঘড়ি ছাড়া কি চলে। এই সময়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে ঘড়ি দেখতে হয়। ঘড়ি তাে এখন শস্তা। তিনশ-চারশ টাকায় সুন্দর সুন্দর ঘড়ি পাওয়া যায়।