লেখক | : সমরেশ মজুমদার |
ক্যাটাগরী | : উপন্যাস |
প্রকাশনী | : সাহিত্য প্রকাশ |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১৬২ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
জন-যাজক বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা
বুজরুকি? নাকি এও এক ধরনর শোষণ? কোনও কাজ না করে কিছু লোক একজন ভগবান-ভগবান টাইপের মানুষকে খাড়া করে লক্স-লক্ষ ভক্তকে একপ্লয়েট করে যাচ্ছে প্রতিদিন।আবার তাদের সঙ্গে রেষারেষি করে আরও কিছু মানুষ আরও একাধিক দেবতা-মার্কা লোককে নিয়ে বৃদ্ধি করে যাচ্ছে শিষ্যসংখ্যা। একই হিন্দুধর্ম, অথচ কত-না চমৎকার ব্যবসা একে কেন্দ্র করে। যোগী, মহর্ষি, আচার্য, বাবা, ব্রহ্মচারী- এমনতর প্রথম সারির গুরুর সংখ্যাই ভারতবর্ষে কম পক্ষে দশ জন।
হবে-নাই বা কেন। ভারওতর মানুষ আসলে ধর্মভীরু। অথচ ধর্মের চেহারাটা সকলের কাছে তেমন স্পষ্ট নয়। যা অলৌকিক, তাই যেন যুক্ত ধর্মের সঙ্গে। ফলে, সেইসব মানুষেরাই বেশি করে গুরুচরণ শরণ করেন, যারা বাস্তবে আত্মবিশ্বাসহীন। যাঁরা ভাবেন, গুরু তাঁর সিদ্ধাই দিয়ে ভক্তকে এনে দেবেন অনর্জিত সাফল্য কি অপ্রাপ্য সুযোগ। অসম্ভবকে করে তুলবেন সম্ভপর। গুরুরাও নেন এই দুর্বলতার সুযোগ। ব্যতিক্রম কি নেই? নিশ্চিত রয়েছে। কিন্তু ভণ্ডামির দিকটাই বেশি করে চোখে পড়ে।
সমরেশ মজুমদার তাঁর এই দুঃসাহসিক উপন্যাসে ধর্মের নামে ভণ্ডামির এই চেহারাটাকেই যেন খোলাখুলিভাবে দেখাতে চেয়েছেন। আর সেই সূত্রে শুনিয়েছেন একটি আশ্রমকে কেন্দ্র করে তীব্র কৌতূহলকর এক কাহিনী।
এ-উপন্যাস শুধু মুগ্ধই করে না, চমকে দেয়। সেইসঙ্গে নতুনভাবে ভাবতেও করে উদ্বুদ্ধ।