লেখক | : ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশনী | : বইপোকা পাবলিকেশন্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১২৮ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
ছোটবেলায় বাবা-মা মারা যাওয়ার পর একমাত্র ভাই দেবেন্দ্র ও বৌদি অপর্ণা কাছেই মানুষ হয়েছে মহেন্দ্র। মহেন্দ্রের পরিবার একসময় আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকলেও নানান জটিলতায় তাদের পারিবারিক অবস্থা এখন বেশ শোচনীয়।অর্থাভাবে শুধু মেট্রিক পাশটাই করতে পারে সে। তার উপর বসন্তের কারণে নিজের চোখ দুটো হারিয়ে ফেলে দেবেন্দ্র৷ অন্ধ দাদা, বৌদি আর দাদার ছেলে খোকনের ভরণপোষণের জন্য বিজয়া দশমীর দিন মহেন্দ্র পাড়ি জমায় কলকাতায়, পিতৃবন্ধু উমেশ ভট্রাচার্যের কাছে। উমেশবাবু বেশ ধনবান ব্যক্তি, তার কাছে চাকরি লাভের কারণেই যাওয়া। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় উমেশবাবুর একমাত্র মেয়ে মাধুরীর সাথে। বড়লোক বাবার একমাত্র কন্যা আর তিন ভাইয়ের একমাত্র আদরের বোন মাধুরী শ'খানেক গুণে গুণান্বিত। আপাদমস্তক আধুনিকা, মেধা-রূপে অদ্বিতীয়া। এই মাধুরীকে মালা পরানোর জন্য মালা গাঁথে মডার্ন সমাজের অসংখ্য তরুণ, বাদ যায়নি জমিদারপুত্রও। কিন্তু মাধুরী তার মালা দিয়ে দেয় সামান্য মাইনের কেরানী মহেন্দ্রের গলায়৷ মহেনকে ঘষেমেজে সভ্য সমাজের উপযোগী করে তোলার দায়িত্ব নেয় সে নিজেই৷ কিন্তু মহেন্দ্র দানের টাকা না, নিজের উপার্জিত টাকা দাদার হাতে তুলে দিতে চায়। সেজন্য উমেশবাবুর বিলাসবহুল ছেড়ে সে চলে যায় এক মেসে। হয়তোবা সে মাধুরীর থেকেও দূরে সরে যেতে চেয়েছিল। তবুও মাধুরী তাকে আঁকড়ে ধরে রাখে৷ ⠀
⠀
পুঁথিগত বিদ্যা মহেন্দ্রের বিশেষ একটা না থাকলেও, তার আচার-আচরণ, কথাবার্তায় ছিল বেশ গভীর কাব্যিকতার ছোঁয়া। আর সাহিত্য ও গানের প্রতি তার আগ্রহ ছিল প্রবল। মাধুরী মহেন্দ্রর আর্থিক অবস্থা জানার পরেও সব ত্যাগ করে তাকে প্রচন্ডভাবে নিজের করে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু মহেন্দ্র মাধুরীর সেই ডাকে সাড়া দেয়নি, বরঞ্চ নিজেকে একেবারেই গুটিয়ে নেয় মাধুরীর থেকে৷ কিন্তু কেন সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়? তাদের কি শেষমেশ মিলন ঘটে?⠀