লেখক | : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশনী | : বইপোকা পাবলিকেশন্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৫৫ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
১ বার ডাউনলোড করা হয়েছে |
উপন্যাসটি নাম ‘বামুনের মেয়ে’ হলেও আমি এর লেখক হলে নাম ‘ছোট জাতের মুখে আগুন’ দিতাম। একসময়কার সনাতন ধর্মালম্বীদের গোড়ামি বা জাতিবিভেদের কথা অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন শরৎবাবু।সত্যিই অসাধারন সময় কাটল। গল্পের শুরু হয় গ্রামের বৃদ্ধ অন্ধ-কুসংস্কারচ্ছন্ন রাসমনিকে দিয়ে। দেখানো হয় দুলে জাতির এক মেয়ে তার নাতনীর পাশ দিয়ে হেটে গেছে বলে তিনি দুলে মেয়েটিকে খবরদারি করছেন আর জগদ্ধাত্রী ও তার মেয়ে সন্ধ্যাকে নিচু জাতের মেয়েছেলে রাখার জন্য গালমন্দ করতে করতে নিজের নাতনীকে স্নান করাতে নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর লেখক উপন্যাসটির গুরুত্বপূর্ন চরিত্রগুলো- অরুন, গোলক চাটুয্যে মহাশয়, প্রিয় মুখুয্যে ইত্যাদি চরিত্র তুরে ধরেন। অরুন একজন নিচু জাতের তরুন। কিন্তু অতি সম্প্রতি বিদেশে গিয়ে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহন করেছে। প্রিয় মুখুয্যে সম্পর্কে সন্ধ্যের বাবা। ঔষধপত্র আর রোগী ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তবে উপন্যাসটির সবথেকে মজার চরিত্র গোলক মুখুয্যে মহাশয়। শুরুতে তার কথা-বার্তা, আচার-আচরন একজন ধার্মিক ব্যাক্তির মতো শোনালেও ধীরে ধীরে লেখক তার মুকোশ উন্মোচন করতে থাকেন। ‘মধূসুদন! তুমিই ভরসা’কথায় কথায় বলা তার মুদ্রাদোষ। কিন্তু বামুনের মেয়ে উপন্যাসটির আসল ড্রামা শেষের দিকে। যখন জানা যায় সন্ধ্যার বাবা আসলে একজন নিচু জাতের লোক। সময় কাটানোর জন্য আদর্শ উপন্যাস। আর হাঁ, এটা নিয়ে সিনেমা হয়েছে কিনা জানি না, তবে আমি যদি এটা নিয়ে মিনেমা বানাই তবে অবশ্যই গোলক চরিত্রের জন্য এটিএম শামশুজ্জামানকে পছন্দ করতাম