লেখক | : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশনী | : বইপোকা পাবলিকেশন্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১৪২ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
বিপ্রদাস, বলরামপুরের জমিদার দয়াময়ীর সৎ ছেলে। এই বিপ্রদাসকে কেন্দ্র করেই উপন্যাস। মাতৃভক্তি, ধর্মভক্তি, দায়িত্ব আর কর্তব্যনিষ্ঠা তার অসাধারণ। দয়াময়ীর বিরাট জমিদারী সে-ই সামলায়। আছে দয়াময়ীর আপন ছেলে দ্বিজুদাস। সারাক্ষণ প্রজাদের স্বার্থ নিয়ে মিছিল মিটিং করতে থাকে। মা ও দাদার অবাধ্য না হলেও বৌদিদির সে সবচেয়ে বড় ভক্ত। মা দাদা থেকেও সতী বৌদিদিকে সে বেশি মান্য করে। আরেক প্রধান চরিত্র আছে বন্দনা। সতীর পিসতুতো বোন বন্দনা। খোদ দয়াময়ীর ব্যাপারে তেমন কিছু মনে হয় নি। স্বাধারণ এর বাইরের দশজনের মধ্যে একজন মনে হয়েছে। প্রথম কিছুটা ভূমিকা শেষে কাহিনী শুরু হয় দয়াময়ীর বাড়িতে বন্দনার বেড়াতে যাওয়া নিয়ে। দয়াময়ী পরিবার গোড়া হিন্দু পরিবার। ছোঁয়াছুঁয়ি মেনে চলেন। তাই বন্দনা যখন তাকে প্রণাম করতে যায় তখন তিনি একটু সরে দাড়ান। ব্যাপারটা বন্দনার গায়ে লাগে, তারচেয়েও বেশি গায়ে লাগে যখন সে দেখে তার বাবাকে একলা খেতে দেওয়া হয়েছে। সে রাগ করে থাকার আমন্ত্রণ বাদ দিয়ে বিকেলের ট্রেনে চলে যেতে চায়। তারপর তাদের স্টেশনে গমন, ট্রেনে মাতালদের খপ্পরে পড়ে বিপ্রদাসের সাথে যাওয়া, কলকাতায় বিপ্রদাসের বাড়িতে উঠা, কথায় কথায় ছোঁয়াছুঁয়ি নিয়ে বিপ্রদাসের প্রতি বন্দনার প্রচ্ছন্ন কটাক্ষ, মায়ের পক্ষে বিপ্রদাসের সাফাই, কলকাতার বাড়িতে বন্দনার সেবার বহর, বন্দনাকে দ্বিজদাসের বউ করার ইচ্ছা, অতিশয় আদর, সে ইচ্ছার ভাঙন। বিভিন্ন রাগ অভিমান, দুর্ঘটনা, বিপ্রদাসের হটাৎ অসুস্থ হওয়া, বন্দনার মনের পরিবর্তন, অসুস্থ বিপ্রদাসের অকুন্ঠ সেবা, কাহিনীর শেষে বিপ্রদাসের সর্বস্বান্ত হওয়া, দ্বিজদাসের মায়ের মত বৌদিদির মৃত্যু, বন্দনার নিজের দেশে চলে যাওয়া, এবং পুনরায় বলরামপুরে ফিরে আসা। তারপর দয়াময়ী ও বিপ্রদাসের একসাথে কৈলাস ভ্রমণ ও দ্বিজদাসের সাথে বন্দনার শুভবিবাহ একই সাথে কাহিনীর হ্যাপি ও স্যাড এন্ডিং এনে দিয়েছে।