লেখক | : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশনী | : বইপোকা পাবলিকেশন্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ১২০ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
১ বার ডাউনলোড করা হয়েছে |
শরতের এই বইটির প্রাথমিক বৈশিষ্ট্যগুলোতে আলোকপাত করতে হলে শুরুতেই তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত লেখনী এবং চটপটে, বিদুষী নারী চরিত্রের কথা উল্লেখ করতে হয়। মনোরমা, একইসাথে বুদ্ধিমতি এবং অত্যন্ত ব্যক্তিত্ত্বসম্পন্ন একটি চরিত্র। মনোরমার বাবা, আশুবাবু আমাদেরকে শেখান কী করে সমাজের কতিপয় “অক্ষয়” এর মতো কাপুরুষের নারীর প্রতি মিথ্যে প্রতিহিংসামূলক আচরণ আর peer pressure কে পাশ কাটিয়ে সত্যিকারভাবে নারীকে শ্রদ্ধা করতে – সে যেই হোক – নিজের কন্যা, স্ত্রী অথবা “কমল” এর মতো opinionated কেউ!
একইসাথে অজিতের মতো উচ্চশিক্ষিত, তথাকথিত সুশীলতার মুখোশ পরিহিত চরিত্রের দেখাও পাই যার কিনা ক্ষণে ক্ষণে নতুন নতুন বোধোদয় হয়, যা তার কাছের মানুষগুলোকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিতে থাকে। তবে হরেন্দ্রের মতো দৃঢ়চিত্তের চরিত্রকেও বাহবা দিতে হয়!
কমলকে শুরুর দিকে কিছুটা বিরক্ত লাগলেও ক্রমশ স্বীকার করতে বাধ্য হই, ও যেমনই হোক, ওর তীক্ষ্ণ জীবনবোধের সমতুল্য আর দ্বিতীয়টি নেই! এই যেমন কমলের এই উক্তিটি –
“বিশেষ কোনো একটা দেশে জন্মেচি বলে তারই নিজস্ব আচার-আচরণ চিরদিন আঁকড়ে থাকতে হবে কেন? গেলই বা তার বিশেষত্ব নিঃশেষ হয়ে। এতই কি মমতা? বিশ্বের সকল মানব যদি একই চিন্তা, একই ভাব, একই বিধিনিষেধের ধ্বজা বয়ে দাঁড়ায় – কি তাতে ক্ষতি? ভারতীয় বলে চেনা যাবে না এই ত ভয়? না-ই বা গেল চেনা। বিশ্বের মানবজাতির একজন বলে পরিচয় দিতে ত কেউ বাধা দিবে না। তার গৌরবই বা কি কম?”