লেখক | : মুহম্মদ জাফর ইকবাল |
ক্যাটাগরী | : শিশু কিশোর গল্প |
প্রকাশনী | : মাওলা ব্রাদার্স |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৮১ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
"তিন্নি ও বন্যা (৭টি গল্প)"বইটির প্রথমের কিছু অংশ: ঝুম্পু। ফাইনাল পরীক্ষার শেষে সিলেট থেকে ঝুমুর আমাকে চিঠি লিখল, চিঠির বিষয়বস্তু এরকম : অনেকদিন আমাকে দেখে না, আমি কি আগের মতােই বেকুব আছি, নাকি কিছু বুদ্ধিশুদ্ধি হয়েছে সেটা দেখার তার কৌতূহল। তাই পরীক্ষা শেষ হবার পরই আমি যেন সিলেট চলে আসি। . ঝুমুর আমার ছােট খালার মেয়ে, বয়সে আমার থেকে বছর দুয়েক বড় হতে পারে, কিন্তু কথাবার্তা খুব চ্যাটাং চ্যাটাং! তাকে দেখে মনে হয় কেউ বুঝি একটা শুকনাে কাঠির মাঝে আলু গেঁথে দিয়েছে। তার ছােটজনের নাম। বাবু যদিও তার চেহারার মাঝে কোনাে বাবুয়ানার চিহ্ন নেই–গাবদাগােবদা বােকা-বােকা চেহারা। পরীক্ষা শেষ হলে সবাই কতরকম আনন্দ করে—নাটক-সিনেমা দেখে, গিটার বাজানাে শেখে, হৈচৈ করে ক্রিকেট খেলে, কেউ-কেউ আবার। কক্সবাজার রাঙামাটি বেড়াতে যায়। আমি কখনাে কিছু করি নি, তাই ঝুমুরের চিঠি পেয়ে এবারে আমি ঠিক করে ফেললাম যে-করেই হােক সিলেট যেতে হবে। আব্বা-আম্মার পিছনে ঘ্যানঘ্যান করে জ্বালাতন শুরু করলাম। আমার ঘ্যানঘ্যান করায় কাজ হল বলা যেতে পারে, একরকম বিরক্ত হয়েই আব্বার পরিচিত এক বন্ধুর সাথে আমাকে সিলেটে খালার বাসায় পাঠিয়ে দিলেন। আমি যখন ছােট খালার বাসায় পৌঁছালাম তখন সন্ধে হয়ে গেছে। দরজা খুলে দিল প্রায় পরীর মতাে দেখতে খুব সুন্দর চেহারার একটা মেয়ে। আমাকে দেখে চিৎকার করে বলল, “এসে গেছে! এসে গেছে!! রাজু এসে গেছে! পিপীলিকাভুক রাজু!”