লেখক | : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার |
প্রকাশনী | : আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৮৩ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(০)
|
কোন ডাউনলোড রেকর্ড নেই |
এই বইটা পড়তে গিয়ে বস্তুতই অনেক আত্মপ্রসাদ লাভ করেছি। প্রতি পাতায় পাতায় নিশ্বাস আটকানো থ্রিল আর কাকাবাবুর একের পর এক বিপদে জড়িয়ে পড়া দেখে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কলম এইবার কাকাবাবুকে এমন এক পরীক্ষার মুখোমুখি করিয়েছেন যেখানে কাকাবাবুকে দেখাতে হয়েছে প্রচন্ড সাহস, ধৈর্য্য আর বুদ্ধির পরিচয় কারণ কাকাবাবু এইবার এমন সব বিপদে একবারে পড়েছেন যে বিপদে পড়লে যেকোন সাধারণ মানুষ ঘাবড়ে যেতে বাধ্য।
সন্তু আর জোজোর কলেজ ছুটি থাকায় কাকাবাবু সহ তারা আসে সন্তুর মামার বাড়ি গোবিন্দপুরের টাকি গ্রামে।সন্তুর মামা প্রস্তাব দেন গ্রামের স্কুলের মেরামতের জন্য টাকা জোগাড়ের প্রয়াসে একটা থিয়েটার করা হবে যেখানে শুধু ছোটররাই অভিনয় করবে। অনেক ভেবে বের করা হয় সুকুমার রায়ের ' লক্ষ্মণের শক্তিশেল' নাটকটাই করা হবে। আর পরিচালক হবেন কাকাবাবু। জোজো পায় হনুমান আর সন্তু পায় জাম্বুবানের পার্ট। স্থানীয় সার্কেল পুলিশ অফিসার নিখিল মাহান্তোর ছেলে সুকোমলকে দেয়া হয় রামের পার্ট। রির্হাসেল খুব ভালোমতই চলছিল কিন্তু একদিন সুকোমল রির্হাসেলে আসার পথে কিডন্যাপ হয়। কিডন্যাপের কেস নিয়ে কাকাবাবু ঘাটাঘাটি করতেই পরিচয় হয় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী গগন সাহার সাথে। তারপর আসে নিখিল মাহান্তোর কাছে চিঠি ৫ লাখ টাকা নিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে। পরিচয় দেয় শঙ্খচূড় নামে। কাকাবাবু শঙ্খচূড় কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে কিডন্যাপ হন আর তাকে শঙ্খচূড়ের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শঙ্খচূড় কাকাবাবুর শরীরের বোমা বেঁধে তাকে পাঠায় রয়র্টাস বিল্ডিংএ হোম সেক্রেটারির থেকে ইলেকট্রনিক নোটবুক আনতে যেটা শঙ্খচূড়ের এক লোকের থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল যেখানে সাংকেতিক ভাষায় কিছু লিখা আছে। পুলিশের হেফাজতে থেকে কাকাবাবু সেই সাংকেতিক ভাষা উদ্ধার করে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়।